শনিবার, ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ০৫:৩৭ পূর্বাহ্ন
ক্রীড়া ডেস্ক: জয়ের টার্গেট ১৯৬ রান। মামুলি এই টার্গেট বাংলাদেশ টপকে গেলো প্রায় অনায়াস ভঙ্গিতে। টাইগাররা ম্যাচ জিতলো ৫ উইকেটের বড় ব্যবধানে। ৮৯ বল হাতে রেখে। মিরপুরের স্লো উইকেটে রান তুলতে ওয়েস্ট ইন্ডিজের দম যায় যায় অবস্থা। খানিকবাদে সেই উইকেটে বাংলাদেশ ধৈর্য্য এবং আক্রমণের সমন্বয়ে ব্যাটিং করে সহজ ভঙ্গিতেই ম্যাচ জিতে নিলো। তিন ম্যাচের সিরিজে এগিয়ে গেলো ১-০ তে।
ক্যারিয়ারের ২০০ তম ওয়ানডে ম্যাচটা জয় দিয়েই উদযাপন করলেন মাশরাফি। এই ম্যাচে অধিনায়ককে জয় উপহার দেয়ার পণ করেছিলো বাংলাদেশ দল। সেই ইচ্ছে পুরুণ করেই অধিনায়কের সঙ্গে ম্যাচ জয়ের আনন্দ মাতলেন ক্রিকেটাররা। আর মাইলফলকের ম্যাচে মাশরাফি বল হাতে যে আগুনঝরা পারফরমেন্স দেখালেন সেটাই যেন ম্যাচে পুরো দলকে আরো উজ্জীবিত করলো। লং অফ থেকে দশ পা দৌড়ে এসে শূন্যে পুরো শরীর ভাসিয়ে দিয়ে মাশরাফির বলে তামিম ইকবাল যে দুর্দান্ত কায়দায় ক্যাচ ধরলেন সেটাই জানিয়ে দিলো-এই ম্যাচে অধিনায়ককে বাড়তি কিছু উপহার দিতেই খেলছে দল!
৫ উইকেটের জয়ের সঙ্গে ১০ ওভারে ৩০ রানে ৩ উইকেটের শিকার নিয়ে মাশরাফিও মাইলফলকের ম্যাচকে স্মরনীয় করে রাখলেন। অবসরে ক্রিকেট নিয়ে গল্প করলে বলতে পারবেন এই ম্যাচে তার ডটবল ছিলো ৪১! পারফরমেন্স ছিলো ম্যাচ সেরা! বোলিং পারফরমেন্সে অধিনায়কের সঙ্গে পাল্লা দেন মুস্তাফিজও। ম্যাচে তার বোলিং বিশ্লেষণও অনবদ্য; ৩৫ রানে ৩ উইকেট। পাঁচজন বোলারের মধ্যে রুবেল হোসেন ছাড়া বাকিদের ইকোনামি রেট চারের নিচে। সম্মিলিত এই বোলিং কৃতিত্বেই ওয়েস্ট ইন্ডিজের রান দুশোর নিচে আটকে রাখে বাংলাদেশ।
ওপেনিং জুটিতে ৮ ওভারে ৩৭ রান যোগ করে তামিম ইকবাল ফিরে আসেন। লিটন দাস শুরুতে একবার ক্যাচ দিলেও সেটা ছিলো নো বল। ওসান থমাস, কিমো পল ও খেমার রোচ-এই ত্রয়ীর দুরন্ত গতির পেস বোলিংয়ে শুরুর দিকে বাংলাদেশের জবাবি ইনিংস একটু এলোমেলো দেখায়। ইমরুল কায়েস সেই গতির ঝড়েই পরাস্ত হন। ভাল খেলতে থাকা লিটন দাসের হঠাৎ মনে হলো এবার একটু ক্রসব্যাটে চালাই। চিন্তাটা শেষ হতেই দেখলেন কিমো পলের বলে তার স্ট্যাম্প উড়ে গেছে! সাকিব ও মুশফিকের চতুর্থ উইকেট জুটিতে যোগ হওয়া ৫৭ রান বাংলাদেশের ম্যাচ জয়ের কাজ সহজ করে দেয়।
লো স্কোরের ম্যাচে মুশফিক রহিমের অপরাজিত হাফসেঞ্চুরি এবং শেষের দিকে সৌম্য সরকারের পেরিস্কোপ শটের ব্যাটিং আনন্দ জানান দিলো টেস্ট সিরিজের মতো ওয়ানডেতেও পেশি ফোলাচ্ছে বাংলাদেশই।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
ওয়েস্ট ইন্ডিজ: ১৯৫/৯ (৫০ ওভারে, হোপ ৪৩, ব্রাভো ১৯, স্যামুয়েলস ২৫, চেজ ৩২, কিমো পল ৩৬, মিরাজ ১/৩০, সাকিব ১/৩৬, মুস্তাফিজ ৩/৩৫, মাশরাফি ৩/৩০, রুবেল ১/৬১)।
বাংলাদেশ ১৯৬/৫ ( ৩৫.১ওভারে, তামিম ১২, লিটন ৪১, ইমরুল ৪, মুশফিক ৫৫*, সাকিব ৩০, সৌম্য ১৯, মাহমুদউল্লাহ ১৪* অতিরিক্ত ২১, চেজ ২/৪৭, পাওয়েল ১/৭)।
ফল: বাংলাদেশ ৫ উইকেটে জয়ী।